পাথরকুচি পাতার উপকারিতা
পাথরকুচি পাতার উপকারিতা কি ? পাথরকুচি গাছ চিনবেন কি করে ? এইসব নিয়েই আজকের এই লেখা। পাথরকুচি পাতা আমাদের প্রায় সবারই কম বেশি পরিচিত। গ্রামাঞ্চলে তো এই পাতা সহজেই পেয়ে যা যাবেন। প্রাচীন কাল থেকেই পাথরকুচি চিকিৎস্যা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । পাথরকুচি বীরুৎজাতীয় একটি ঔষধি উদ্ভীদ । এটি দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়ে থাকে ও পাতা ডীম্বাকার । পাথরকুচি গাছের বোটানিক্যাল নাম Kalanachoe pinnat (Lamk.) Pers. ফ্যামিলি Crassulaceae । পাথরকুচির রোগ প্রতিরোদ ক্ষমতা অনেক , আজকে পাথরকুচি পাতার উপকারিতা আমরা জেনে নেবো। তার আগে চলুন জেনে নিই এই পাছটি চিনবেন কী করে।
পাথরকুচি গাছ ও পাতার পরিচিতিঃ

পাথরকুচি পাতার উপকারিতা : 10 টি গুণাবলি
➡ শিশুদের পেট ব্যাথাঃ
শিশুদের পেট ব্যাথা হলে, সাথে সাথেই ৪০-৬০ ফোঁটা পাথরকুচি পাতার রস পেটে মালিশ করুন, দেখবেন ব্যাথা কমে গেছে । তবে পেটে ব্যাথা আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে ।
➡ পেট ফাঁপাঃ
অনেক সময় দেখা যায় পেট ফুলে গেছে । আধোবায়ু, প্রস্রাব কম হওয়া এইসব সমস্যা হয় । একটু চিনির সাথে ১-২ চামিচ পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম করে জলের সাথে মিশিয়ে খান । তাহলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে ।
➡ সর্দিঃ
অনেক দিনের সর্দি বাতিক, অনেক ঔষুধ খেয়েও কমছে না ? এর জন্য পাথরকুচি পাতার উপকারিতা খুবই কার্যকরি। পাথরকুচি পাতা থেতো করে রস বের করে তা গরম করে নিতে হবে তারপর তিন চা-চামচ এই রস এর সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম সোহাগার খৈ মেশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করতে হবে । তার থেকে প্রতিদিন সকাল ও বিকাল ২ চামচ করে খান । তাহলে পুরানো সর্দি থেকে উপশম পাবেনই।
আরও দেখুনঃ খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত আর্টিকেল।।
➡ কিডনির পাথরঃ
পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগন্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে থাকে । দিনে ২ বার থেকে ৩ টি পাতা চিবিয়ে বা রস করে খান । দেখবে সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে ।
➡ মৃগী রোগঃ
যাদের মৃগী রোগ আছে তাদের প্রায়ইেএ রোগ দেখা দেয় । যখন মৃগী রোগ উঠবে তখন ২ -১০ ফোটা পাথরকুচি পাতার রস মুখে দিয়ে দিন । দেখবেন একটু পেটে পরলেই উপশম হয়ে যাবে ।
➡ জন্ডিসের সমাধানঃ
জন্ডিস ও লিভারের যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য তাজা পাথরকুচি পাতা জুস বানিয়ে নিয়মিত খান এতে জন্ডিস ও লিভারের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে । এছাড়া রক্তপিত্তজনিত ব্যথার কারনে রক্তক্ষরণ হলে দু’বেলা এক চা চামচ করে পাথরকুচি পাতার রস দু’দিন খেলে নিরাময় পাবেন।
➡ মেহঃ
সর্দিজনিত কারণে শরীরের নানা ন জায়গাই ফোঁড়া দেখা দেয় যাকে মেহ বলা হয় । এ ক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতার রস এক চা-চামচ করে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ নিয়মিত খন দেকবেন দেখবেন আপনার রোগ ভালো হয়ে গেছে ।
➡ উচ্চ রক্তচাপঃ
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতার রস নিয়মিত খেলে মুক্তি মিলতে পারে । পাথরকুচি পাতার উপকারিতা আমাদের মানব জীবনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলিয়ে দিতে পারে ।
➡ কাটা বা থেঁতলে যাওয়া :
টাটকা পাথরকুচি পাতা পরিমাণ মতো নিয়ে হালকা একটু তাপে গরম করে নিয়ে কাটা বা থেঁতো হয়ে যাওয়া স্থানে সেঁক নিন। দেখবেন ব্যাথা যন্ত্রণা থেকে আরাম পাবেন।
➡ ত্বকের যত্ন :
ত্বকের যত্নে পাথরকুচি পাতার উপকারিতা অনেক। এতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় অংশ থাকে, যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষমতাও থাকে। দু’চামচ মতো পাথরকুচি পাতার রস হাফ কাপ গরম জলে মিশিয়ে দু’বেলা সেবন করলে শরীরের জ্বালাপোড়ার নিরাময় হয়। ত্বক এর যত্ন নিতে পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ফুসকুড়ি ও ব্রণ জাতীয় সমস্যা গুলো কমে যাবে।